গ্রাহকদের হাতে নিরাপদ খাবার পৌঁছাতে কাজ করছে প্রোটিন মার্কেট
নিজস্ব প্রতিবেদক (প্র.বার্তা):
বাংলাদেশে নানা ধরনের পণ্য নিয়ে ই-কমার্স সার্ভিস ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষদের প্রতিদিনের কেনাকাটায় অবদান রেখে চলছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় নানা পণ্য, খাবার থেকে শুরু করি নিত্য দৈনিন্দিনের জিনিসও এখন অনলাইন থেকে কেনা যায়। ভিন্ন এবং নিরাপদ খাবারের বিষয়টিকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ করছেন অনেক তরুণ। বিশেষ করে নিরাপদ খাবার গ্রাহকদের হাতে পৌঁছানো ও এ বিষয়গুলোতে সচেতনতা নিয়ে কাজ করছেন প্রোটিন মার্কেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিউল আলম। নিজের উদ্যোগ, নিরাপদ খাবার এবং গ্রাহকদের জন্য নেয়া বিভিন্ন বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, প্রোটিন মার্কেট কাজ করে মূলত প্রোটিন জাতীয় খাবার নিয়ে। যেসব খাবারে প্রোটিন আছে আমরা সেসব খাবার নিয়েই কাজ করি। আমরা দেখেছি প্রোটিন যুক্ত খাবার নিয়ে মানুষের নানা ধরনের চিন্তা আছে। কোনটা খাবেন কিংবা সেটার মানই বা কেমন সেসব নিয়েও সাধারণ মানুষেরা চিন্তিত থাকেন। আমরা চিন্তা করলাম নিরাপদ প্রোটিন খাবার বিষয়ে সচেতনতা এবং ভালো প্রোটিন খাবার সকল গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায় সে ভাবেই শুরুটা।
অনেকেই এর পুরো বিষয়গুলোকে নজরদারিতে আনেন না। বাজার থেকে মুরগি কেনা বা মাছ কেনার সময় কিন্তু তেমন সমস্যা হয় না, হয় যখন এটি বাজারজাতকরণ প্রসেসে যায়। যেমন আমরা দেখেছি ব্রয়লার মুরগি সাধারণত ৪৫ দিনে খাবার উপযোগী হচ্ছে। যদিও সাধারণ পদ্ধতিতে মুরগি এ সময়ের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয় না। তবে এ পদ্ধতিটি নিয়ে কিন্তু নানা কাজ হওয়ার পর এ সময়ের মধ্যে কিভাবে মুরগি খাওয়ার উপযোগী হয় সেটি একটা নিয়মের মধ্যে চলে আসে। সেটা আমরা কিন্তু মেনেও নিয়েছি। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা গেল, অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন, যে মুরগি ৪৫ দিনে খাওয়ার উপযোগী হয় সেটাকে যদি ৪০ দিনে বিক্রির উপযোগী করে ফেলা যায় তাহলে ৫ দিনের খাবার যেমন কম লাগে তেমনি বিক্রিও দ্রুত হয়। যদিও এ কাজে বড় ক্ষতির স্বীকার হন গ্রাহক। কারণ, আমরা ৫ দিন কমে মুরগিটি বাজারজাত করায় আমরা হরমন জাতীয় কিছু ব্যবহার করি। এ চিন্তাগুলোকে মাথায় রেখেই প্রোটিন মার্কেট কাজ করছে। আমরা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কিভাবে প্রোটিন খাবারগুলো গ্রাহকদের কাছে দিতে পারছি সেটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পণ্য যে সম্পূর্ণ নিরাপদ সেটিই আমরা গ্রাহকদের নিশ্চিত করি।