•   Tuesday, 22 Oct, 2024
BREB

আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি স্থগিত

Generic placeholder image
  নিজস্ব প্রতিবেদক

সমস্যা সমাধানের সরকারের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারে সঙ্গে আলোচনায় বসবেন আগামী রোববার। ফলে কোনো রকম কর্মসূচি দিয়ে জটিলতা তৈরি করতে চান না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এজিএম ও সমন্বয়ক মো. সালাউদ্দিন মানবজমিনকে বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তিনি আরও জানান, সরকারের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আগামী রোববার বসবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে আপাতত কোনো কর্মসূচি নেই। সারা দেশে বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখছেন তারা। তবে আজ কিছু কিছু জায়গায় অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুতের লাইন বন্ধ  করা হয়েছিল। ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথার পর তা স্বাভাবিক করা হয়েছে বলেও জানান সালাউদ্দিন। তিনি জানান, ২০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়। এজন্য তারা এই কর্মসূচির ডাক দেন।

২০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্তের প্রতিবাদে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হলে দেশ জুড়ে ব্ল্যাক-আউটের হুমকি দিয়েছিলেন তারা। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরি অবসানের আদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণাপূর্বক ২ দফা দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ আল্টিমেটাম দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বার্তায় বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন চলমান। আন্দোলনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেম তথা আরইবি সংস্কার সময়ের দাবি হিসেবে উল্লেখপূর্বক সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য গত ১লা আগস্ট ১৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ইতিপূর্বে ওই কমিটির ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত এবং দফায় দফায় সভা অনুষ্ঠিত হলেও সরকারের সংস্কার উদ্যোগে আরইবি’র প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার কারণে কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করতে সক্ষম হয়নি।

BREB
Comment As:

Comment (0)