•   Thursday, 21 Nov, 2024
পাইপলাইনে তেল পরিবহন মহেশখালী জ্বালানি তেল গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প

পাইপলাইনে মহেশখালী থেকে তেল আসছে পতেঙ্গায়: বাঁচবে সময়, কমবে খরচ

Generic placeholder image
  প্রকৌশল সমাচার অনলাইন

গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ী খরচে খালাস করার জন্য এ প্রকল্প শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে এসপিএম প্রকল্পের আওতায় এবার কক্সবাজারের মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পরিবহনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) তেল আসতে সময় লেগেছে ৩০ ঘণ্টা। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পাইপলাইনের মাধ্যমে সকাল ৮টায় মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প শুরু হয়। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ৪০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক টার্মিনালে তেল পৌঁছায়। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে ৬০ হাজার টন ডিজেল নেওয়া হয়েছিল।

 

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এসপিএম ব্যবহার করে জ্বালানি তেল আমাদের রিফাইনারিতে নেওয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাগরের তলদেশ দিয়ে দুটি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এই পাইপ দুটির মাধ্যমে মহেশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবস্থানকারী বড় বড় জাহাজ থেকে তেল সরাসরি রিফাইনারিতে আনা হবে। মো. লোকমান বলেন, এখন থেকে মাদার ওয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে রিফাইনারিতে আনতে হবে না। ফলে জ্বালানি রিফাইনারিতে আনতে সময় অনেক কমে আসবে, খরচও কমবে।

 

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে, ১১ দিনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল খালাস করা যায়, সেটির সময় কমে আসবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায়। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর লাইটার জাহাজের প্রয়োজন হবে না। ফলে পরিবহন খরচের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। গত বছরের ২৬ জুন মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে স্থাপিত এসপিএম ব্যবহার করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল খালাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যায়।

 

গত বছরের ৩ জুলাই এমটি হোরে নামক জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় স্থাপিত ট্যাংকে তেল পরিবহনের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে পাইপলাইনে সরাসরি তেল পরিবহন কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। ত্রুটি সারানোর পর বিশেষায়িত বয়া ব্যবহার করে গত ৩ ডিসেম্বর জাহাজ থেকে ৮৩ হাজার টন ক্রুড অয়েল এবং ৭ ডিসেম্বর ৬০ হাজার টন ডিজেল পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়।

Comment As:

Comment (0)