•   Sunday, 08 Sep, 2024
ইলেকট্রিক কার ইকার পালকি পালকি মোটরস ব্যাটারি চালিত গাড়ি

দেশেই তৈরী হবে চার চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি

Generic placeholder image
  News Admin

এবার দেশের রাস্তাতে চলবে দেশেই তৈরী বৈদ্যুতিক গাড়ি। বাংলাদেশে অটোমোটিভ ইন্ড্রাস্ট্রির অধরা এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশীয় স্টার্টআপ 'পালকি মোটরস'। 
চলমান স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে 'পালকি মোটরস' তাদের নিজস্ব সংযোজিত বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে। 
 
আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে এই গাড়ির চাবি গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পালকি মোটরসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তফা আল মোমিন। 

 আপাতত প্রি-অর্ডারের ভিত্তিতে গ্রাহকরা পাবেন পালকি গাড়ি।  চার দরজা, চার চাকার ওই বৈদ্যুতিক গাড়িতে চলছে প্রি-বুকিং সুবিধা।  প্রায় ৫ লাখ টাকার বাজেটের এই গাড়ি সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি কিনতে যারা আগ্রহী তাদের কাছে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

পালকিতে খরচ কেমন
সাধারণ ডিজেলচালিত গাড়িতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ পড়ে ১০ টাকা। পালকি সেখানে ১ টাকা ৬৩ পয়সা খরচে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে বলে জানান মোমিন। ৬০ভি ১০০এইচ লিড অ্যাসিড ব্যাটারিসংবলিত পালকি একবার চার্জে ১৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে। এর ব্যাটারি চার্জ হতে সময় নেয় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। লিড অ্যাসিড ব্যাটারি ৩৬ হাজারের বেশি কিলোমিটার পর্যন্ত সেবা দিতে পারবে।

৪০ শতাংশ যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের
পালকির বডির বেশির ভাগ অংশ চীনের তৈরি। আর ইঞ্জিন আনা হচ্ছে তাইওয়ান থেকে। তবে খুচরা যন্ত্রাংশের ৪০ শতাংশ বাংলাদেশের তৈরি বলে জানান মোমিন। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে স্থাপন করা হয়েছে পালকি মোটরসের অ্যাসেম্বল শেড। সেখানেই চলছে পালকির কাজ।

সবার জন্য পালকি
তিন লাখ টাকা ডাউন পেমেন্টে বুকিং দেওয়া যাবে পালকি। বাকি টাকা গাড়ি হাতে পাওয়ার পর পরিশোধ করতে হবে। মোমিন মনে করেন, দেশের বাজারে পালকি খুব সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি হতে যাচ্ছে।

 তিনি বলেন, ‘সব শ্রেণির ক্রেতার কথা ভেবেই এই গাড়ি বাজারে আনা হয়েছে। একজন অটোরিকশাচালক, যিনি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তিনিও এটা কিনতে পারবেন। পালকির মাধ্যমে তিনি অনায়াসেই মাসে ৪৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন, অটোরিকশার মাধ্যমে যা সম্ভব না। 
আবার যাঁরা নিজের শিশুকে স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য বা কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের জন্য কম দামে গাড়ি খুঁজছেন, তাঁরাও এটা কিনতে পারবেন। বৈদ্যুতিক গাড়িতে ইঞ্জিন জটিলতা না থাকায় খুব সহজেই এই গাড়ি পরিচালনা করা যাবে।’

Comment As:

Comment (0)