মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু
প্রকৌশল সমাচার: কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম আজ শনিবার শুরু হতে যাচ্ছে। শুরুতে প্রথম ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে গণ মাধ্যমকে অবহিত করেছেন প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম।
তিনি জানান, প্রকল্পে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিটটি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। এটি সফল হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসেম্বরের শেষে উৎপাদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল)। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম ইউনিটে উৎপাদিত ১২৫ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। এই পরীক্ষণমূলক উৎপাদনে সফলতা এলে বিদ্যুৎ সরবাহ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ইউনিট নতুন বছরে বাণিজ্যিক উৎপাদন যাবে। তবে তার আগেও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্তভাবে উৎপাদনে গেলে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর অন্যতম বড় প্রকল্প মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটি জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহায়তার প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর কাজ হয়েছে ৯০ শতাংশ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিটে প্রতিদিন প্রয়োজন হবে ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। এ পর্যন্ত ২ লাখ টন কয়লা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী ৭ অগাস্ট ৬৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ মাতারবাড়ীর জেটিতে ভিড়বে।
এদিকে জাহাজ থেকে সরাসরি কয়লা আনলোডের জন্য দুটি জেটির পাশাপাশি ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন ধারণক্ষমতার চারটি ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ট্যাংকে ৬০ দিনের জন্য কয়লা সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট পুরোপুরি চালু হলে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, মাতার বাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা ইউনিয়নের এক হাজার ৪১৪ একর জমিতে স্থাপিত।