নতুন দিগন্তে এভিয়েশন খাত
 
                                         
 
                                        স্বল্প পরিসরে উদ্বোধন হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ টার্মিনাল দেশের এভিয়েশন খাতের চিত্রই পাল্টে দেবে। বিশ্ববিখ্যাত লন্ডনের হিথ্রো, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি, সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি, আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরের আদলে নিমিত টার্মিনাল ভবনটির চোখ ধাঁধানো দৃষ্টিনন্দন সব কাজ মোহিত করবে যে কাউকে। সরকার ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের আশা তৃতীয় টার্মিনালের অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা ঢাকার বিমানবন্দরের যাত্রীসেবায় নতুন অভিজ্ঞতা পাবে ব্যবহারকারীরা। ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক এই টার্মিনালের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে যাত্রীরা বিমানবন্দর পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে আগামী বছরের শেষ নাগাদ। টার্মিনালে রয়েছে— স্ট্রেইট এসকেলেটর, অত্যাধুনিক ব্যাগেজ  বেল্ট, বেবি কেয়ার-চিলড্রেন পে, ফার্স্ট-এইড, মুভি লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট, চেক-ইন বোর্ডিং। এই টার্মিনালে যাত্রী নিজেই ইমিগ্রেশন করতে পারবেন। এছাড়া এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হবে উন্নতমানের। কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তৃতীয় টার্মিনালে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে এরমধ্যে ১৫টি কাউন্টারে সেলফ সার্ভিস চেক-ইন ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি। আগমনীর ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে। টার্মিনালে ১৬টি ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট। এক হাজার ২৩০টি গাড়ি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন বহুতল কার পার্কিং তৈরি করা হচ্ছে। এই টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করে রাখা যাবে
নতুন সম্ভাবনা: শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি এয়ারলাইনসের ১২০ থেকে ১৩০টি ফ্লাইট ওঠানামা করে। এসব ফ্লাইটের ১৯ থেকে ২১ হাজার যাত্রী প্রতিদিন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। এই যাত্রীদের মানসম্মত সেবা দিতে বিমানবন্দরের বর্তমানে চালু থাকা দুটি টার্মিনাল যথেষ্ট নয়। সংস্লিষ্টদের মতে, এর মাধ্যমে এভিয়েশন খাতের সম্ভাবনার দুয়ারগুলো আরও বাড়বে। প্রতি বছর যুক্ত হবে নতুন নতুন এয়ারলাইন্স কোম্পানি। বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবার বিপরীতে এখন দুই  কোটি ৪০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে। টার্মিনালটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে জাপান। ভবনটির নকশা করেছেন খ্যাতিমান স্থাপত্যবিদ রোহানি বাহারিন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি লুপ থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত হবে। থাকবে মেট্রোরেলের সংযোগও। হজ্ব  ক্যাম্পের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য থাকবে টানেল। টানেলটি বিমানবন্দরের অদূরে অবস্থিত মেট্রোরেলের স্টেশনের সঙ্গেও যুক্ত থাকবে। এতে বিদেশ থেকে যেসব যাত্রী আসবেন তারা খুব সহজেই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবেন। আবার যারা বিদেশ যাবেন, তারাও রাজধানীর যানজট এড়িয়ে খুব সহজে বিমানবন্দরে  পৌঁছতে পারবেন। 
 
 
                                    


 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                