ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা
 
                                         
 
                                        প্র.স প্রতিবেদক: এবার মহাসড়কে নজরদারিতে বসছে উন্নত প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের  প্রায় আড়াই শ কিলোমিটারে দেড় হাজার সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ।
সংশ্লিষ্টদের আশা এতে করে মহাসড়কে পণ্যচুরি বন্ধ, অপরাধ দমন আর দুর্ঘটনা কমানো ও নাশকতা রোধ সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে হাইওয়ে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, এর মাধ্যমে মহাসড়কে নাশকতাকারীদের চিহ্নিত এবং পরিকল্পনা ঠেকানো সহজ হবে। পাঁচটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে গোটা সড়কটির ওপর সার্বক্ষনিক নজরদারি প্রতিষ্ঠা করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রপ্তানি পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা এই মহাসড়কই। পুলিশের তথ্য বলছে, গেল ১০ বছরে এখানে রপ্তানি পণ্য চুরির ঘটনা ঘটে দুই শর বেশি। চুরি রোধে পদক্ষেপ নিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকেরা। এরই প্রেক্ষিতে মহাসড়কের আড়াই শ কিলোমিটারে ১৩৩৫টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শিগগিরই আরও ৯২টি বসবে।
ক্যামেরাগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চক্ষমতার লং ভিশন, ডোম আর বুলেটপ্রুফ। মেঘনাঘাট, দাউদকান্দি, ফেনী, মিরসরাই আর সিটিগেট এলাকায় পাঁচটি মনিটরিং সেন্টার থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে। মূল কমান্ড সেন্টার থাকছে মেঘনাঘাটে।
পাঁচটি মনিটরিং সেন্টার থেকে ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রিত হবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। একাধিক চালক ও পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিসিটিভিগুলোর ফলে কোনো দুর্ঘটনার পর গাড়ির গতি বিশ্লেষণ করা যাবে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ছাড়া সাধারণ যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। চিন্তা ছাড়া পণ্য আনা–নেওয়ার কাজ করতে পারবেন তারা।
আন্তঃজিলা পণ্য পরিবহন সংস্থা ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিউর রহমান বলেন, ‘একটা সিসিটিভি ক্যামেরার আওয়াত থাকা মানে নজরদারিতে থাকা। এই নজরদারির ফলে হাইওয়ে পুলিশ রক্ষিত হয়ে গেল এবং আমরা নিশ্চিন্তে কোটি টাকার পণ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’
 
                                    


 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                 
                                                