বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মাদ হামীদুর রহমানের ইন্তেকাল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহিএ ও্যা ইন্না ইলাহি রাজিউন। তিনি বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ডিপার্ট্মেন্টের শিক্ষক ছিলেন। তিনি খন্ডকালীন সময় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আই ইউ টি) এর শিক্ষক ছিলেন।
ইসলামিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৫ সালে ম্যাট্রিক পাস করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে কলেজ পাস করে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (বর্তমানে বুয়েট)। এ সময় তাদের সংসার চলত বাবার পেনশনের টাকায়। অনেক কষ্টে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তারপর শুরু করেন কর্মজীবন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন এবং পরে ইংলিশ ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। ১৯৬৫ সালে কোম্পানি থেকে ট্রেনিংয়ের জন্য ইংল্যান্ড যান। প্রায় ৯ মাস সেখানে ছিলেন। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে কোরআন তেলাওয়াত নিয়ে দিন-রাত পড়ে থাকতেন, তাহাজ্জুদ পড়তেন।
ইংলিশ ইলেক্ট্রিক কোম্পানিতে তিনি ব্যাপক পরিচিতি ছিল, সুনাম ছিল। বছর না ঘুরতেই তিনি কোম্পানির জন্য একটা সম্পদ হয়ে ওঠেন। ১৯৬৯ সালের শুরুর দিকে কোম্পানির প্রোডাক্ট সেলের জন্য ঘুষের প্রচলন শুরু হলে তিনি এর বিরোধিতা করেন। এক পর্যায়ে লোভনীয় চাকরিটি ছেড়ে দেন। পরে অনেক কম বেতনে ১৯৬৯ সালে তিনি বুয়েটে যোগ দেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি হাফেজ্জী হুজুরের ভাবশিষ্য ছিলেন। ইসলাম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন এবং দাওয়াতী কাজে ট্যাবলীগে প্রচুর সময় ব্যয় করেন। ইসলাম নিয়ে তাঁর প্রায় ১৬ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। ছেলেরা সবাই হাফেজ ও আলেম।
প্রফেসর হামিদ এর মৃত্যুতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ, আই ইউ টি, বুয়েট এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস শোক জানিয়েছেন।
BUET