•   Thursday, 21 Nov, 2024
জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার ‘জ্বালানি তেল নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে’

‘জ্বালানি তেল নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে’

Generic placeholder image
  প্রকৌশল সমাচার ডেস্ক

জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা উল্লেখ করে এ বিষয়ে ব্যাখা দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত রয়েছে।

‘বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই। সংকটের কোনো শঙ্কাও নেই। ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপলাইনে রয়েছে।’

‘আমাদের ডিজেল বর্তমানে (বুধবার পর্যন্ত) মজুত রয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ টন। দৈনিক গড় বিক্রি ১৩ হাজার ৬০৭ টন হিসেবে এটা ৩২ দিনের মজুত। জেট-এ-১ মজুত রয়েছে ৪৪ দিনের ও ফার্নেস অয়েল মজুত রয়েছে ৩২ দিনের। অর্থাৎ আমাদের মজুত সক্ষমতা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুত রয়েছে।’

পেট্রল পুরোটাই বাংলাদেশ উৎপাদন করে। আর অকটেনের প্রায় ৪০ ভাগ দেশে উৎপাদন হয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি জুলাই মাসে ৯টি জাহাজ থেকে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার টন ডিজেল, ২টি জাহাজে প্রায় ৪৩ হাজার টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজ থেকে ২৪ হাজার ৬৭৭ টন অকটেন এবং ২টি জাহাজ থেকে ৫৩ হাজার ৩৫৮ টন ফার্নেস অয়েল গ্রহণ করা হয়েছে।

আগস্ট মাসে ৮টি জাহাজে ২ লাখ ১৮ হাজার টন ডিজেল, ১টি জাহাজে ২৫ হাজার টন জেট-এ-১, ১টি জাহাজে ২৫ হাজার অকটেন আসবে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা অনুসারে জ্বালানি তেল বাংলাদেশে আসবে। এর ৫০ ভাগ জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকিটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। ঘাটতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহকৃত জ্বালানি তেল ব্যবহারে মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

Comment As:

Comment (0)