ঘূর্ণিঝড় রিমালে বিদ্যুৎ স্থাপনায় শত কোটি টাকার ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় রিমালে অন্যান্য সবকিছুর সাথে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের স্থাপনা। ছিঁড়ে গেছে কয়েক হাজার কিলোমিটার বৈদ্যুতিক তার। হেলে পড়েছে বা ভেঙে গেছে প্রায় ৪ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি। উপকেন্দ্র, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ট্রান্সফরমার আর তার ছিড়েছে বিপুল পরিমাণে। যার আর্থিক মূল্য শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বিদ্যুৎহীন ছিল তিন কোটির বেশি গ্রাহক। এসব ধ্বংসযজ্ঞ মেরামত করে প্রায় ৯০ ভাগ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সব মিলে প্রাথমিক হিসেবে ১০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডর (বিআরইবি) সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ৩০ হাজার জনবল উপকূলে একসাথে কাজ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায়ই স্বাভাবিক করে এনেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তথ্যানুসারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। ওজোপাডিকো এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন য়েছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহক।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল পরবর্তী এলএনজি টার্মিনালের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হ্রাসকৃত এলএনজি সরবরাহ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে বর্তমানে তা ১০০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। ১০০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় চলমান থাকায় ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমান সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করে ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এলাকায় সকল ধরনের কর্মকর্তাগণের ছুটি বাতিল করে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।